Apr 22, 2007

আজিকার কথা

হাটবারে, হাটে যাই না
ঘাটে পড়ে থাকি এবং রোদ পোহাই।।

কখনো কখনো এটুকুই বলবার থাকে।
কখনো না বলেই সারা।

Apr 16, 2007

পনের ডিগ্রী



ষাট ফিট ব্যাসের একটা বৃত্তের পরিধিতে, কেন্দ্রের সাপেক্ষে পনের ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেছি ক্রমাগত। একশো দশ থেকে চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে পনের'তে নেমে আসা, বিলক্ষণ গঙ্গোত্রীর নিম্ন অববাহিকার মৎসজীবিদের লক্ষণ।


খুরপি সহযোগে,
কাদামাটিতে মাছ খুঁজে বেড়াই

এবং

শাপশাপান্ত করি ব-দ্বীপের।

এক পশলা হাসি মাঝে মাঝেই দেখি
পাশবিক আনন্দ নিয়ে

টাটায়
.
.
.
.

টাটায়

আন্তঃআণবিক বলের মায়া কাটিয়ে
লম্ব বরাবর ছুটে আসলেই
ভেঙ্গে যেত বৃত্ত;



* বাণিজ্য অনুষদ, আরব-ইসরায়েল ফাটাফাটি,
রুমঃ ০০৮
১৩ই এপ্রিল, ২০০৭

বোষ্টমী বলেছে মোরে, যেতে হবে সদানন্দ সাগরে




খরচের খাতায় যাওয়ার শখ

কদাচিৎই হয়,

দেনা কর্জের ফাঁপরে পড়ে

ইলিশ মাছ খাই না,

কিন্তু

তাই বলে যৌবন তো আর দাদনে

চাষ করিনা।।



সবটা শুনে ঘাটের মড়াও বল্লে

হরি হরি মরারে জাগিয়ে, আবার মারবি কেন গো।


এইখানেই কবি এবং কাঁথা-বালিশে তফাৎ

কাঁথা-বালিশ কাজে, আসে এবং সময়ে সময়ে ওম দে।

ওমের কথা আসলে উমদা কথাটাও চলে আসে,

এখনই উমদা সময় বল্লে, ‘জ্ঞানীজন’

খেটে-খুটে পাস মার্ক তুলে ফেলো

আখেরে আখরোট মিলবে।


আখরোট এর আশায় যৌবন জীবনানন্দে সঁপিয়া

তাই এখন একমনে বোষ্টমীর ধ্যান করিতেছি।।


২০০৭-০৪-১৬ ১০:২৪:১১

Apr 14, 2007

নীল জলের পদ্মেরা, কালো ভ্রমরের স্বপ্নেরা



সাদা চশমা

কালো চশমা

...

রোদ চশমা

ছায়া চশমা

...

তুমি হাঁটছ

কথা বলছ

মেঘ করছে

জল নাচছে

...

আমি দেখছি

কথা বলছি

মেঘ ডাকছে

জল করছে

...

তুমি নাচছ

তুমি ডাকছ

চোখ বলছে

কিছু খুঁজছে

...

চোখ ডুকরে

বালি ঠুকরে

রোদ কামড়ে

ছায়া দুমড়ে

...

তুমি কাদাকাদা

আমি থিকথিক

কবিতার গায়ে

মোহ ধিকধিক।।

Apr 12, 2007

সম্ভাবনাময় বিকেল


ঠিক নিশ্চিত নই
কিভাবে সম্বোধন করবো
ডান হাত পিছনে ভাঁজ করে , বাম হাত বাড়িয়ে দেবো
সম্ভ্রান্ত পুরুষের গোপন আহবানে


ঠিক নিশ্চিত নই
তবুও এগিয়ে যাচ্ছি, প্রস্তুতি শুরু করেছি
সদ্য জন্মানো বিকেল থেকে,
হালের বেহাল দশা, পালের তোবড়ানো
বলে দেয়, অনেককাল নীল জল চিরে ছুটিনি
তাই বলে থেমে নেই, আমাদের আশৈশব পৃথিবী
ঠিক মেপে মেপে ঘুরছে, সে হন্তারক অভ্যেসের বশে
একবারও তার মনে হয়নি, আজ এই বিকেলে
হুট করে কি থেমে যাওয়া যায় না। ফালি ফালি রোদের চকচকে অবকাঠামোয়
তরল যে উষ্ণতাটুকু আসছিলো, সেই উষ্ণতার মোহেও তো থামা যায়।

ঠিক নিশ্চিত নই
বিকেল কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়
জানলে আজ প্যাকেটজাত বিকেলে বাজার সয়লাব করে দিতাম,
বোকা বাক্সের মোহাবিষ্ট কিশোর-কিশোরীদের তালুতে তুলে দিতাম একটা রোদেলা বিকেল।




এত সব অনিশ্চয়তার মাঝে ও পেরিয়ে গেল বেশ কয়েকটা সকাল
একঘেঁয়ে, পানা জলে সাঁতরানো কিছু দুপুর
এবং সম্ভাবনাময় কিছু বিকেল।

ঠিক সেই রকম, সম্ভাবনাময় এক বিকেলে
দুহাতের আঁজলায় মুখচ্ছবি নিয়ে
দুর্বিনীত ভালবাসার ঘোষণা করেছি
।।



৩১শে এপ্রিল, ২০০৭
কলাম্বিয়া।

তুমি কোন পথে যে এলে



তুমি কোন পথে যে এলে, এলে পথিক

আমি দেখি নাই তোমারে

তুমি কোন পথে যে এলে

হঠাৎ স্বপ্‌ন সম দেখা দিলে বনেরই কিনারে

তুমি কোন পথে যে এলে,

ফাগুনে যে বান ডেকেছে, মাটির পাথারে

তোমার সবুজ পালে লাগলো হাওয়া, এলে জোয়ারে

ভেসে এলে জোয়ারে

যৌবনের জোয়ারে

তুমি কোন পথে যে এলে, এলে পথিক

আমি দেখি নাই তোমারে

.

.

.

তোমার মালার গন্ধে তারই আভাস প্রাণে বিহারে

তুমি কোন পথে যে এলে, এলে পথিক

আমি দেখি নাই তোমারে ।।




শাহানা বাযপেয়ি’র গলায় রবি ঠাকুরের ভাষায় প্রার্থনা করছি অবিরত, অনবরত এবং অবচেতন চেতনায়।

কৃতজ্ঞতা জানাই শাহানা’কে।