গাংচিলের পালকের ওম
মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর
নমঃ নমঃ নমঃ নমঃ ।
জাগ্রত অবস্থায় এসেছিলো
হুট হাট করে গাংচিল এর পাখনায়,
মোহময়ী নদীর মত দুকূল আছড়ে
তখন ও জপে যাই ,
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
একি মোর অপরাধ ।
বললে এটা ব্যামো,
চোখের ব্যামো
মনের ব্যামো,
সকাল বিকেল হরিৎ পাতা চিবোও, কালা জিরা দিয়া
ব্রেইন ও খুলবে, চোখ ও আর টাটাবে না।
হাত ধরে ডাক দিলে
চলো না ঘুরে আসি কফি হাউসে
আমি আবার একমনে ভাবি বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ,
যারে পাবি তারে ছোঁ।
কিন্তু আমি কেন,
আমি কি তবে বুড়ো নাবিক
পথ দেখাতে এসেছে গাংচিল,
স্বচ্ছ স্রোত চিরে ছুটে যাবে সলজ্জ ঢেউ ভেঙ্গে
আমার স্বপ্ন তরী।
প্রথম টিউশানির বেতন পেয়েছে
প্রথম আয়, প্রথ ম ব্যয়
মাঝখানে আমি হয়ে গেলাম নিদারুণ ভাবাপন্ন অব্যয়ি ভাব সমাস,
যে সমাস বিস্তৃত ও হয়না, সংকুচিতও হয় না
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে
অবিচল
স্থানু।
গাংচিলের পালকের ওমে,
লুকিয়ে থাকা স্বপ্ন নিয়ে চলো যাই
স্বপ্নচূড়ায়।
বুড়ো নাবিক নিয়েছিল হট-চিলি স্যুপ
নাকের মুখের পানিতে ভেসে গেল
আদিগন্ত বিস্তৃত জাহাজের ডেক।
আর গাংচিল, বুড়ো নাবিকের
স্বপ্নভূমির সন্ধানে রিকশার হুড ফেলে রওয়ানা দিল ।
১৪’ই জুলাই, ২০০৬
No comments:
Post a Comment